সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩

বাইনারী সংখ্যা ব্যবস্থা





মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার,
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান কম্পিউটার নির্ভর যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন, আধুনিক ইলেকট্রনিক সার্কিট লজিক গেট ডিজাইনের কাজে বাইনারী সংখ্যা ব্যবস্থা বহুল প্রচলিত। বাইনারী সংখ্যা ব্যবস্থার ভিত্তি (দুই) এবং বাইনারী সংখ্যা দুটি হচ্ছে ১।

এখন ডেসিমাল, বাইনারী, অক্টাল হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা ব্যবস্থার একটা তুলনা দেওয়া হলো

রবিবার, ৯ জুন, ২০১৩

সামুরাই কিলার সুডোকু

মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার,
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আজ আপনাদের আরো একটি ব্যতিক্রমী ধরণের সুডোকু নিয়ে বলবো। সামুরাই কিলার সুডোকু। প্রথমেই চলুন একটি নমুনা উদাহরণ দেখে নেই ।
                                             সামুরাই কিলার সুডোকু ০১


১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যবহার করে কিলার সুডোকু সমাধানের নিয়মাবলীঃ
দেখতে বিশাল হলেও এটি বেশ সহজ ও আরো বেশি মজার।

কিলার সুডোকু


মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার,
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

কিলার সুডোকু ’৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে জাপানে একটি ভিন্ন রকমের সুডোকু হিসেবে প্রচলিত। জাপানি ভাষায় কিলার সুডোকু ‘সামুনামুপুরে (samunamupure)’ নামে পরিচিত। এর অর্থ ‘যোগ করে বসানো’। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ জাতীয় দৈনিক 'দ্য টাইমস'-এ কিলার সুডোকু প্রকাশিত হলে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

উদাহরণ ০১ ও তার সামাধান

১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যবহার করে কিলার সুডোকু সমাধানের নিয়মাবলীঃ

আইসো-সুডোকু


মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার,
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সুডোকু। এই শব্দটির সাথে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের দেশে সুডোকু এখন অনেক জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সুডোকু’কে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ব্যতিক্রমী ধরণের কিছু সুডোকু আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি ‘আইসো-সুডোকু’। 

আমাদের পরিচিত সুডোকু সাধারণত বর্গাকৃতির হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আইসো-সুডোকু ব্যতিক্রম। আইসো-সুডোকুর প্রতিটি ঘর হেক্সাগোনাল বা ষড়ভুজ-আকৃতির। (ষড়ভুজঃ যার ছয়টি কৌণিক বিন্দু ও ছয়টি বাহু রয়েছে।) 
আইসো-সুডোকু দেখতে কেমন? নিচের উদাহরণটি (আইসো-সুডোকুঃ ০১) দেখুন।
                                      আইসো-সুডোকুঃ ০১

১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যবহার করে আইসো-সুডোকু সমাধানের নিয়মাবলীঃ

(১) প্রত্যেকটি সারি, কলাম ও ননেটে (ননেটঃ উপরের চিত্রে, প্রতিটি ৩X৩ ছক কাটা ঘরকে মোটা রেখা দ্বারা পৃথক করে দেখানো হয়েছে, ৩X৩ ছক কাটা ঘরগুলোকে ননেট বলা হয়) ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো শুধুমাত্র একবার করে ব্যবহার করা যাবে।

আইসো-সুডোকুর ক্ষেত্রে, নিচের চিত্রে লাল রেখার মাধ্যমে ‘কলাম’ শব্দটি বোঝানো হয়েছে।

(২) আইসো-সুডোকু’র ব্যতিক্রমী নিয়মঃ প্রতিটি ক্ষুদ্র কর্ণে একই সংখ্যা একাধিক বার ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি কর্ণে ব্যবহৃত সংখ্যাগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে হবে। 

If anyone unable to understand Bengali then read this passage:
Place a digit from 1 to 9 into each of the empty hexagonal. Each digit appears exactly once in each of the rows, 9-cell diagonals and the nine outlined 3x3 regions. In the shorter diagonals all digits must be different.
                 আইসো-সুডোকুঃ ০১-এর সমাধান

আপনাদের কৌতুহল মেটাতে নিচে আরো দুইটি আইসো-সুডোকু দেওয়া হলো। তাহলে এখনই সমাধান করতে চেষ্টা করুন আইসো-সুডোকু। আপনার মস্তিষ্ক যত বেশি ব্যবহৃত হবে, ততো বেশি ক্ষুরধার হবে।
                          আইসো-সুডোকুঃ ০২

                                           আইসো-সুডোকুঃ ০৩

ঘড়ি (পর্ব -০১)


মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার,
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


ঘড়ি, আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি। ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সংখ্যা গুলো যদি একটু ভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়? তখন কেমন দেখাবে ঘড়ি গুলো?

নিচের ঘড়িটা দেখা যাক,


এই ঘড়িটি আমাদের কি কি তথ্য দিচ্ছে?

(১) পিথাগোরাস-এর মতে, ১ হচ্ছে প্রথম নমন সংখ্যা অর্থাৎ প্রথম বিজোড় সংখ্যা।

(২)  ২ হচ্ছে একমাত্র জোড় মৌলিক সংখ্যা। প্রাচীন গ্রীসে, ২-কে নারী সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হত!!!

(৩)  প্রাচীন গ্রীসে, ৩-কে পুরুষ সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হত!!!


(৪)  ২ এর সাথে ২ যোগ করলে বা গুণ করলেও ফলাফল ৪ হয়। এটি একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
a+a=b & a*a=b এখানে a=২ এবং b=৪(চার)।

*centered triangular number নির্ণয়ের সূত্রঃ
 চার হচ্ছে দ্বিতীয় centered triangular number.

চিত্রে দেখা যাচ্ছে, n=0 এর জন্য centered triangular number = ১;

                 n=১ এর জন্য centered triangular number = ৪(চার)

                 n=২ এর জন্য centered triangular number = ১০

                  n=৩ এর জন্য centered triangular number = ১৯


(৫) প্রাচীন গ্রীকদের মতে, ৫ হচ্ছে বিবাহ সংখ্যা।

(৬) ৬ একটি নিখুঁত সংখ্যা। ৬-এর উৎপাদক হচ্ছে ১,২,৩,৬; এদের মধ্যে প্রকৃত উৎপাদক ১,২,৩। এখন, ১+২+৩=৬। অনুরূপভাবে, ২৮ পরবর্তী নিখুঁত সংখ্যা। ২৮-এর উৎপাদক হচ্ছে ১,২,৪,৭,১৪,২৮; এদের মধ্যে প্রকৃত উৎপাদক ১,২,৪,৭,১৪। এখন, ১ + ২ + ৪ + ৭ + ১৪ = ২৮

(৭) ৭-কে বলা হয় লাকি প্রাইম নাম্বার।

(৮) ৮ হচ্ছে একমাত্র কিউব (ঘন) সংখ্যা যার সাথে ১ যোগ করলে একটি স্কয়ার (বর্গ) সংখ্যা পাওয়া যায়।


(৯) কোন একটি সংখ্যা ৯ দ্বারা বিভাজ্য কিনা তাকীভাবে বুঝবেন?

ধরা যাক, ২৪৩ কি ৯ দ্বারা বিভাজ্য?
২৪৩; ২+৪+৩=৯, ২৪৩ সংখ্যাটি ৯ দ্বারা বিভাজ্য! ২৪৩/৯=২৭
অনুরূপভাবে, ১২৩৩ সংখ্যাটিও ৯দ্বারা বিভাজ্য। ১+২+৩+৩=৯; ১২৩৩/৯=১৩৭

(১০) ১০! = (৬!)*(৭!); দুইটি পৃথক পূর্ণ সংখ্যার ফ্যাক্টোরিয়াল এর গুণফল, অপর একটি পৃথক পূর্ণ সংখ্যার ফ্যাক্টোরিয়ালের সমান, এরূপ বৈশিষ্ট্যের উদাহরণ একটিই আছে।

(১১) ৩১৮৫৩৫৮ সংখ্যাটি ১১ দ্বারা বিভাজ্য। কীভাবে বুঝবেন?
+৩-১+৮-৫+৩-৫+৮=১১;
৩১৮৫৩৫৮/১১=২৮৯৫৭৮

আবার, ১১ হচ্ছে প্রথম Repunit প্রাইম নাম্বার। Repunit বলতে repeated unit বোঝায় অর্থাৎ যেসবসংখ্যায় শুধু '১' থাকে। যেমনঃ ১১, ১১১, ১১১১ ইত্যাদি। Repunit Prime এর অপর নাম Mersenneprime.

(১২) ১২-এর উৎপাদক হচ্ছে ৬টি; ১,২,৩,৪,৬,১২। আমরা আগেই বলেছি ৬ একটি নিখুঁত সংখ্যা। কোন একটি পূর্ণ সংখ্যার উৎপাদক সংখ্যা যদি নিখুঁত সংখ্যার সমান হয়, তাকে সাব-লাইম নাম্বার বলে। ১২ হছে একটি Sublime(মহিমান্বিত) নাম্বার।

আবার ১২ একটি Abundant number. ১২-এর প্রকৃত উৎপাদকসমূহের যোগফল ১৬ (১+২+৩+৪+৬=১৬); ১৬>১২ তাই ১২ কে Abundant(প্রচুর বা অঢেল) number বলা হয়।

এবার আপনিও কি পারবেন এমন একটি ঘড়ি তৈরী করতে?

সূত্রঃ en.wikipedia.org

শনিবার, ১ জুন, ২০১৩

শব্দ দূষণঃ প্রভাব ও প্রতিকার




মোহাম্মদ আব্দুছ ছালাম মোল্লা
প্রভাষক, পদার্থবিজ্ঞান, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা।

প্রকৃতি জগতের প্রত্যেক প্রাণীরই তার স্বজাতির সাথে ভাবের আদান-প্রদানের সাধারণ মাধ্যম শব্দ।শব্দ এমন এক প্রকারশক্তি, যা কোন কম্পনশীল বস্তু হতে উৎপন্ন হয়ে জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এসে আমাদের কানে শ্রবনের অনুভূতি জাগায় বাজাগাতে চেষ্টা করে।

কিছু কিছু শব্দ যেমন- পাতার মর্মর ধ্বনি, নদীর কুলুকুলুরব, পাখিরকল-কাকলি, গানের সুমধুর সুর আমাদের মনকে মুগ্ধ করে।পক্ষান্তরে গোলমাল বাহট্টগোল কিংবাতীব্রশব্দ বা শব্দের আধিক্য আমাদের শরীর ও মনে ক্লান্তি নিয়ে আসে এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।তাহলে শব্দ দূষণ কি?

“শব্দের আধিক্য আমাদের শরীর ও মনের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাই পরিবেশের শব্দদূষণ।

নানা কারণে শব্দদূষণ হয়ে থাকে। শব্দদূষণের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন কারণসমূহ দায়ী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দু-একটি প্রাকৃতিক কারণেও শব্দদূষণ হয়। মেঘের গর্জন, ঝড়ের সময় বায়ু প্রবাহজনিত তীব্র শব্দ, সমুদ্রের গর্জন, পশুপাখির উচ্চ কণ্ঠধ্বনি যেমন- বাঘের গর্জন, কুকুরের ঘেউ-ঘেউ শব্দ, কাকের সমস্বরে কা-কা শব্দ করা ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে সাধারণত শব্দদূষণ ঘটে।

মনুষ্য সৃষ্ট কারণসমূহঃ

(১) শব্দদূষণের অন্যতম কারণ পরিবহণ। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে শহর, নগর, বন্দর, বৃদ্ধির সাথে বাস, ট্রাক, ট্রেন প্রভৃতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব যানবাহনের ইঞ্জিনের শব্দ এবং এগুলোতে ব্যবহৃত উচ্চ মাত্রার হর্নের আওয়াজ শব্দদূষণের অন্যতম কারণ।
(২) শিল্প কারখানায় বিভিন্ন যন্ত্র হতে উৎপন্ন শব্দ, শব্দদূষণ করে।
(৩) উচ্চ শব্দে রেডিও বা লাউড স্পিকারে গান বাজালে শব্দদূষণ হয়।
(৪) মাইকের আওয়াজ; যেমনঃ নির্বাচনী প্রচার, বক্তৃতা, ধর্মীয় সভা, লটারীর টিকিট ক্রয়ের আহ্বান ইত্যাদি শব্দদূষণ করে।


সাধারণ শব্দের তীব্রতা পরিমাপক ডেসিবেল (মানদণ্ড) এবং শব্দদূষণঃ
শ্রবণানুভূতি সৃষ্টিকারী সাধারণ শব্দের ‘ন্যূনতম তীব্রতা’ বা ‘প্রমাণ তীব্রতা মাত্রা’Acoustical Society of America দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে। সোসাইটির নির্ধারণ অনুসারে সাধারণ শব্দের শ্রবণানুভূতি