বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

কি করে বানাইব আমি পরশপাথর ???



পরশপাথর নামে রবিঠাকুরের কবিতা আছে একটা-
ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর।
মাথায় বৃহৎ জটা             ধূলায় কাদায় কটা,
মলিন ছায়ার মত ক্ষীণ কলেবর।
আবার একটা কঠিন রকমের ভাব সম্প্রসারণও অনেকের মুখস্ত, দুখের মতন এত বড় পরশপাথর আর নাই। তার উপর হ্যারি পটারের প্রথম বইয়ের নামেও পরশপাথর, Harry Potter and the Philosopher Stone। আস্তে আস্তে টের পাওয়া যাচ্ছে পরশপাথর মোটেও হেলাফেলার বস্তু নয়। কিন্তু জিনিসটা কি?

যে বস্তুর পরশে সস্তা ধাতু সোনা হয়ে যায়, তাই পরশপাথর। গ্রীক পুরাণে যে রাজা মিডাসের কথা আছে, যার ছোঁয়ায় সব কিছু সোনা হয়ে যায়, তাকেই বা আমরা জৈবিক পরশ পাথর বলি না কেন? কিন্তু কর্মকাণ্ড তো সব ছু-মন্তর আর আব্রা-কা-ডাব্রার মতই লাগে, বিজ্ঞান এর মাঝে ঢুকে গেল কোথা থেকে?

মোটেও দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। কারণ আজপর্যন্ত যে সব ক্ষ্যাপারা খুঁজে খুঁজে ফিরেছেন পরশপাথর, তাঁরা একরকম খাঁটি বিজ্ঞানী। যেমন, আমাদের সবার অতিপরিচিত স্যার আইজ্যাক নিউটন। পরশপাথর বানাতে গিয়ে এই বুদ্ধিমান ক্ষ্যাপাগণ যে বিজ্ঞানকে কতটা এগিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নিজেরা জানতেন?

পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিটি সভ্যতায় পরশপাথরের উল্লেখ পাওয়া যায়। ভারত, চিন, মিশর, গ্রিস; সবখানে কোন না কোনভাবে গড়ে উঠেছিল অ্যালকেমি, পরশপাথর খোঁজার বিদ্যা। অবশ্য অ্যালকেমির পরশপাথর যে কেবল সীসাকে সোনা বানাতে পারে তা নয়। হাজার হাজার অ্যালকেমিস্ট স্বপ্নের পরশপাথরের সাথে তালাশ করেছেন দেব-দানবের বাসুকির লেজ ধরে সমুদ্র উপচে ফেলে তোলে আনা অমৃতের, যার গুণে পলকা মানব জাতি অমর হয়ে যায়। । কিন্তু অমৃত তো দূরের কথা, পেনিসিলিন আবিষ্কার হতে হতেই বহু বছর লেগে গেছে। নয়তো আজকাল আমরা সকলে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিতাম, আর অলিম্পাসের চূড়ায় উঠে হয়তো গ্রীসের দেবতাদের টিটকারিও মারতাম, কয়লার মত কালো, অ্যাপোলো, অ্যাপোলো!
প্রথম প্রথম অ্যালকেমি অনেকদিন আধ্যাত্মিকতার খাঁচায় বন্ধ ছিল , পরশপাথর অন্বেষীরা খুব একটা বাস্তবসম্মত উপায় ব্যবহার করেননি। অ্যালকেমিকে প্রথমবারের মত বিজ্ঞানের কাছাকাছি নিয়ে আসার কৃতিত্ব দিতে হবে জাবির ইবনে হাইয়ানকে।

“ পারমানবিক বিদ্যুৎ এবং আমাদের ভবিষ্যত “

পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাও আবার আমাদের দেশে!! অনেকটা স্বপ্ন এর মত তাই নয় কি? বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশ গুলোর অহংকার এসব পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো ।গত ২রা নভেম্বর ২০১১ তারিখে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্য পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর হয় ।চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রি ইয়াফেস ওসমান ও রাশিয়ার পক্ষে রাশিয়ার আনবিক শক্তি সংস্থা (ROSATAM) এর মহা পরিচালক সের্গেই কিরিয়েস্কো স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার ROSATAM বাংলাদেশের ঈশ্বরদীর রূপপুরে ১০০০ মেগাওয়াটের তাদেররই অর্থায়নে অর্থ্যাৎ ঋন সুবিধার মাধ্যমে ২টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে দিবে। যার কাজ ২০১৪ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সাল নাগাদ শেষ হবার কথা রয়েছে এবং ২০১৮ সালেই অন্তত ১টি পারমানবিক কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াট যা ২০১৮ সাল নাগাদ ২০০০ মেগাওয়াটে গিয়ে পৌছাবে ,যার পুরোটা চাহিদাই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে মেটানো সম্ভব । এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ব্যয় হিসাবে ধরা হয়েছে ১.৫ – ২.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!!! এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখতে প্রয়োজন হবে আড়াই থেকে তিন হাজার সুদক্ষ জনশক্তি ।
আমি এখানে পারমানবিক বিদ্যুৎ কি, কিভাবে এর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয়, পরিচালনা, নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুবিধা – অসুবিধা ,ঝুকি সহ আমাদের দেশে এই প্রযুক্তি পরিচালনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করব।

বিশ্বসেরা সেরা কালো টুপি হ্যাকারদের গল্প


হ্যাক!!! যারা ইন্টারনেট এর সাথে যত সামান্য পরিচিত তাদের নামটা শুনলেই কেমন যেন শরীর হিম হয়ে আসে আর যারা হ্যাকিং এর কবলে পড়েছেন তাদের তো আর কথাই নাই ।হ্যাকার নাম শুনলেই প্রথমেই যে জিনিসটা আমার চোখের সামনে ভেসে আসে তা হল নিজের সাইটে একটা কালো ডিফেস পেজ।যদিও কেবল ওয়েবসাইট হ্যাক করাই হ্যাকারের কাজ না। আরও অনেক কাজ আছে।হ্যাকারা যে সব সময় খারাপ হবে এমনটা নয়।হ্যাকারদের ও অনেক শ্রেণী বিভাগ আছে । এবার আসুন জেনে ফেলি হ্যাকারদের কিছু তথ্য।
হ্যাকার কে?:
হ্যাকার হচ্ছেন তারাই যারা/যিনি নিরাপত্তা/অনিরাপত্তা সাথে জড়িত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা এর দুর্বল দিক খুজে বের করায় বিশেষ ভাবে দক্ষ অথবা অন্য কম্পিউটার ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম বা জ্ঞানের অধিকারী ।
হ্যাকার শব্দটি সাধারণত কালো-টুপি হ্যাকারদের অর্থেই সবচেয়ে বেশী ব্যবহিত হয় যারা মূলত ধংসাত্বক ও অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকেন। তবে যে সবাই অপরাধ করার জন্য হ্যাকার হন তা নয়,বেশ কিছু নৈতিক হ্যাকারও আছেন যাদের সাদা টুপির হ্যাকার বা একাডেমীকালি ক্রাকার বলা হয়ে থাকে ।আমি পড়ে হ্যাকারের শ্রেণী বিভাগ নিয়ে আলোচনা করব ।
তাহলে হ্যাকিংটা কি?
হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে।

হ্যাকারের প্রকারভেদঃ
হ্যাকারদের চিহ্নিত করা হয় Hat বা টুপি দিয়ে।হ্যাকারদের প্রধানত ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকলেও হ্যাকারদের কে মোট ৭ টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ।
  • White Hat Hacker
  • Black Hat hacker
  • Grey Hat Hacker
  • Script Kidie
  • Neophyte or nOOb
  • Blue Hat Hacker
  • Hacktivist
এবার আসা যাক এসব হ্যাকারদের কাজের বর্ণনায়ঃ
ডস এট্যাকের সাথে জড়িত।
যাই হোক এবার আসা যাক মূল আলোচনায় ,

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

ঘরেই বসে পর্যবেক্ষন করুন আমাদের এই বিশাল আকশ পট


প্রতিদিন বাজারে আসছে হাজার হাজার নতুন সফটওয়ার , তাদের ভিতর শিক্ষনীয় সফটওয়ারও কম নয় আজ আমি আলোচনা করব জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটা সফটওয়ার নিয়ে জোতিবিজ্ঞান বিষয়ক সফটওয়ারগুলোর মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে প্লানেটোরিয়াম জাতীয় সফটওয়ারগুলো । আজ এমনি একটি প্লানেটোরিয়াম সফটওয়ার নিয়ে আমি আলোচনা করব । 

 
সামনে আসচ্ছে বর্ষাকাল , ঘন কালো মেঘে ঢাকা থাকবে পুরো আকাশ মাঝে মাঝে বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে সে আকাশ আর এমন আকাশে রাতের আকশের তারা দেখা তো দূরের কথা চাদের দেকাহো পাওয়া যায় না অনেক সময় । যাই হোক যারা আকাশের তারা দেখতে ভালবাসেন বা রাতের তারাদের অপুর্ব সৌন্দয্য তে বিমুগ্ধ হতে চান কিংবা যারা জানতে চান আকাশের ঠিক কোথায় কোন নক্ষত্রের অবস্থান ,তাদের যাবতীয় সব তথ্য তাদের জন্য এই সফটওয়ারটি হতে পারে স্বপ্নের মত ।

আপনি পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকেন না কেন এই সফটওয়ার আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপ্টপের মনিটরে এনে দিবে আপনার মাথার উপরের বিশাল দেখা-অদেখা আকশ পট , আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো আপনাকে শুধু আপনার কো-অর্ডিনেট আর সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে , আর এর জন্য আপনার দরকার হবে না কোন ইন্টারনেটের কানেকশন তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে আপনার কমিউটারের সময় ঠিক আছে কি না। 

বাংলাদেশে তেমন ভাল টেলিস্কোপ আপনি পাবেন না আর একটা টেলিস্কোপের দাম নেহাত একেবারেই কম নয় তারপর আবার আছে সেটিংসের ঝামেলা , কেন জড়াতে যাবেন সেই সব ঝামেলায় বা টেলিস্কোপ না থাকার হতাশায় ?? আপনি পাবেন এই সফটওয়ারএ টেলিস্কোপের সব সুবিধাগুলোই , জুম করে দেখতে পারবেন আকাশের তারা গুলোর আসল চেহারা , আকাশের মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সম্পদগুলোকে । মাউসের স্ক্রোল করে মঙ্গলের পৃষ্টাই না আপনি মঙ্গলের উপগ্রহ ডিমোস ও ফোবস কেও দেখতে পারবেন তাও আবার ত্রিমাত্রিক ছবিতে ।