বৈজ্ঞানিক
কল্পকাহিনীতে হর-হামেশায় চলে আসে এলিয়েন বা ভিন্নগ্রহবাসী । হয় তারা বিশাল কোন স্পেসশীপ নয়ত
ওয়ার্মহোল পাড়ি দিয়ে এসে হানা দেয় পৃথিবিতে । বাস্তবে এমন সব এলিয়েন নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীই
আশাবাদী আর তাই আমেরিকার কেনেডিতে নাসার বিজ্ঞানীরাও কল্পবিজ্ঞানের বই শুধু হাতে ধরেই
বসে নেই ,বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে রাজি আছেন তারা সেই কাঙ্খিত এলিয়েন্
এর সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ।তারই অংশ হিসাবে তারা মহাকাশে পাঠান স্যাটেলাইট কেপলার
স্পেসক্রাফট ।জ্যোতবিজ্ঞানী কেপলারের নাম অনুসারে এই মিশনের নাম করণ করা হয় কেপলার
মিশন ।
কেপলার
মিশন শুরু হবার সাথে সাথেই অনেক গুরুত্বপুর্ণ তথ্যই আসতে থাকে এক এক করে , তার মধ্য
সবার নজর কাড়ে আমাদের পৃথিবী থকে মাত্র ১২০০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা আমাদের সৌর সিস্টেমের
সাথে অনেক আংশে মিলে যাওয়া কেপলার ৬২ সিস্টেমের । যেহেতু কেপলার মিশনে এটার খোজ প্রথমে
আমাদের চোখে পড়ে তাই এটার নাম রাখা হয় কেপলার ৬২ । কেপলার ৬২ আবিষ্কারের পর থেকেই নতুন
জল্পনা-কল্পনা শুরু হতে থাকে । সারা পৃথিবী আজ তাই উন্মুখ হয়ে বসে আছে কেপলার ৬২ এর
দিকে । এখন এই উৎসাহ কে আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা জানালেন আরো নতুন
কিছু তথ্য । গত ১৮ই এপ্রিল ২০১৩ নাসা জানায় পৃথিবী থেকে মাত্র ১২০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত
কেপলারের ৬২ এর সুর্য আমাদের সৌর মন্ডলের সুর্য এর মত হলেও সেটা আমাদের সুর্যের চেয়েও
কিছুটা শীতল ও কিছুটা ছোট ।শীতল ও ছোট হলে কি হবে এর ও আছে আমাদের সুর্যের মত সম্রাজ্য
, তাকে কেন্দ্র করে ৮টি গ্রহ না ঘুরলেও ঘুরছে ৫ টি গ্রহ । তাদের মধ্য ২টি গ্রহ এর আবহাওয়া
কিছুটা পৃথবীর কাছাকাছি এবং পৃথিবী এর মত পাথুরে, গ্রহ ২টি হল কেপলার ৬২e এবং কেপলার
৬২f , যদিও কেপলার ৬২e পৃথিবী এর চেয়েও প্রায় ৪০ % বড় এবং কেপলার ৬২f আমাদের গ্রহের
চেয়েও ৬০% বড় । তবুও কেপলার 62e এর কক্ষপথ পৃথিবী এর খুব কাছাকাছি , সে তার সূর্য কে
কেন্দ্র করে ঘুরতে সময় নেয় ২৪৭ দিন । নাসার বিজ্ঞানীরা আরো জানান প্রাণের উদ্ভব এবং
বসবাসের জন্য গ্রহ ২টিই তাদের কেন্দ্রের সূর্য থেকে সঠিক দূরত্বে অবস্থান করছে তাই
নাসা কেপলার ৬২ সিস্টেমের কেপলার ৬২e এবং কেপলার
৬২f কে গ্রহ দুইটিকে Habitable zone বা বসবাসের যোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন ।
কে জানে হয়ত ঐ
২টি গ্রহের কোন একটিতেই মিলতে পারে বহু আকাক্ষিত প্রাণের সন্ধান আর তখন এলিয়েন বা ভিন্নগ্রহবাসীরা
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অথবা হলিউডের সিঃনেমা থেকে নয় বাস্তবে এসেই ধরা দিবে । তবে দুঃখের
খবর এটাই যে আপনি যদি আলোর উপর অর্থ্যাৎ সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার পাড়িও দেন তবে সেই
এলিয়েনের কাছে পৌছাতে আপনার ১২০০ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন