১


“ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর।
মাথায় বৃহৎ জটা ধূলায় কাদায় কটা,
মলিন ছায়ার মত ক্ষীণ কলেবর।”
আবার একটা কঠিন রকমের ভাব সম্প্রসারণও অনেকের মুখস্ত, ‘দুখের মতন এত বড় পরশপাথর আর নাই’। তার উপর হ্যারি পটারের প্রথম বইয়ের নামেও পরশপাথর, Harry Potter and
the Philosopher Stone
। আস্তে আস্তে টের পাওয়া
যাচ্ছে পরশপাথর মোটেও হেলাফেলার বস্তু নয়। কিন্তু জিনিসটা কি?

যে বস্তুর পরশে সস্তা ধাতু সোনা হয়ে যায়, তাই পরশপাথর।
গ্রীক পুরাণে যে রাজা মিডাসের কথা আছে, যার ছোঁয়ায় সব কিছু সোনা হয়ে যায়, তাকেই বা
আমরা জৈবিক পরশ পাথর বলি না কেন? কিন্তু কর্মকাণ্ড তো সব ছু-মন্তর আর
আব্রা-কা-ডাব্রার মতই লাগে, বিজ্ঞান এর মাঝে ঢুকে গেল কোথা থেকে?
মোটেও দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। কারণ আজপর্যন্ত যে সব
ক্ষ্যাপারা খুঁজে খুঁজে ফিরেছেন পরশপাথর, তাঁরা একরকম খাঁটি বিজ্ঞানী। যেমন,
আমাদের সবার অতিপরিচিত স্যার আইজ্যাক নিউটন। পরশপাথর বানাতে গিয়ে এই বুদ্ধিমান
ক্ষ্যাপাগণ যে বিজ্ঞানকে কতটা এগিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নিজেরা জানতেন?


প্রথম প্রথম অ্যালকেমি অনেকদিন আধ্যাত্মিকতার খাঁচায়
বন্ধ ছিল , পরশপাথর অন্বেষীরা খুব একটা বাস্তবসম্মত উপায় ব্যবহার করেননি।
অ্যালকেমিকে প্রথমবারের মত বিজ্ঞানের কাছাকাছি নিয়ে আসার কৃতিত্ব দিতে হবে জাবির ইবনে হাইয়ানকে।